কাঠ বাদামের উপকারিতা
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি, ই, ডি এবং ভালো ফ্যাট যা আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত ভালো। খেতে বেশ সুস্বাদু বলে অনেকেই বাসায় কাঠবাদাম কিনে রাখেন। নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো। আসুন দেখে নেই কাঠবাদামের অসাধারণ চারটি স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য উপকারিতা।
১। স্মৃতি শক্তি প্রখর করে কাঠবাদামঃ
প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম প্রখর করে স্মৃতিশক্তি। কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উন্নত করতে সহায়তা করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই প্রতিদিন কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে স্মৃতিশক্তি অনেক বেশি প্রখর হয়। তবে অবশ্যই তেলেভাজা লবণাক্ত বাদাম খাওয়া উচিৎ নয়। পানিতে ভিজিয়ে ছিলে খেতে হবে।
২। দ্রুত ওজন কমাতে কাঠবাদামঃ
কাঠবাদামে রয়েছে ফাইটোস্টেরল এবং মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা কাঠবাদাম প্রোটিন এবং ফাইবারের উৎস যা অনেক সময় ধরে ক্ষুধার উদ্রেক করে না১ এবং ক্ষুধা কমায়। এতে করে ওজন কমতে সাহায্য করে।
৩। চুলের যত্নে কাঠবাদাম তেলঃ
চুল পড়া, চুলের রুক্ষতা এবং মাথার ত্বকের সুস্থতায় কাঠবাদামের তেলের জুড়ি নেই। কাঠবাদামের ভিটামিন ডি ও ম্যাগনেসিয়াম চুল পড়া রোধ করে এবং মাথার ত্বক উন্নত করে। চুলে সরাসরি এই তেল লাগিয়ে ঘন্টাখানেক রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে পাবেন স্বাস্থ্যজ্জ্যেল চুল।
৪। ত্বকের সুস্থতায় কাঠবাদামের দুধঃ
কাঠবাদামের ভিটামিন ই ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করতে বেশ কার্যকরী। ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার হিসেবে কাজ করে কাঠবাদামের দুধ। কাঠবাদাম বেটে নিয়ে চিপে এর দুধ বের করা যায় সহজেই। এই দুধ সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক মসৃণ, সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়।
৫। হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যেঃ
এটিতে ফসফরাসের উপস্থিতির কারণে হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে।
৬। হার্টের সুস্থতায়ঃ
এতে আছে মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ,প্রোটিন, পটাসিয়াম, ভিটামিন ই , ম্যাগনেসিয়াম যা হার্টের সুস্থতার জন্য অতি প্রয়োজনীয়।
৭। গর্ভবতী মায়েদের জন্যঃ
এতে আছে ফলিক এসিড যা শিশুর গ্রোথ সেলকে পুষ্টি যোগায়। ফলে জন্মের সময় শিশুর বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মানোর হার কমে যায়।
মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
এছাড়া ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে,কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
Reviews
There are no reviews yet.