Freshfoodsbd.com

লাল চিনি ৫০০ গ্রাম

৳ 90.00

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমাদের নিজস্ব তত্বাবাধনে সংগ্রহ করা হয়।

Category:

ফরমালিন আর ভেজালের যুগে মানুষ একটু একটু করে সচেতন হচ্ছে। সাদা আটা বা চালের পরিবর্তে এখন অনেকেই লাল রংয়ের দিকে ঝুঁকছেন।

লাল আটার রুটি বা লাল চালের ভাত স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। একইভাবে অনেকের মধ্যেই ধারণা হয়ে গেছে, লাল বা বাদামি চিনিও ভালো।

সত্যি বলতে বাদামি আর সাদা চিনির মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই।

একটি খাদ্যপুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইটে যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিষয়ক লেখিকা সুজান মিলার জানান, আখ থেকে প্রস্তুত করার পর কাঁচা-চিনির রং থাকে বাদামি। কারণ এতে গুড়’য়ের অস্তিত্ব থাকে।

আখ থেকে রস বের করে গরম পানিতে ধোয়া এবং শোধন করার পর যে তরল পাওয়া যায় তাতে শতকরা ৯৬ভাগ সুক্রোজ থাকে। আর শতকরা চারভাগ থাকে উদ্ভিজ্জ উপাদান।

এই তরল শুকিয়ে যে চিনি পাওয়া যায় সেটার রং হয় সোনালি বা বাদামি। পুষ্টি উপাদানের মধ্যে দ্রবিভূত অবস্থায় শতকরা ৪৬ ভাগই থাকে সুক্রোজ ও চিনির অন্যান্য উপাদান। এছাড়া শতকরা তিনভাগ থাকে প্রোটিন। অন্যান্য উপাদানের মধ্যে খুব অল্প পরিমাণে থাকে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও সালফার। এছাড়াও পাওয়া যায় কপার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক ও ভিটামিন বি।

 

এই বাদামি চিনি থেকে পরিশোধিত করে যে সাদা চিনি প্রস্তুত করা হয় তাতে ৯৯.৯ শতাংশই থাকে সুক্রোজ।

ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডা থেকে রসায়নবিদ্যায় ডিগ্রি নেওয়ার পাশাপাশি টেক্সাসের এঅ্যান্ডএম ইউনিভার্সিটি থেকে প্রাণরসায়ন এবং সেল বায়োলজির উপর পিএইচডি করা এই লেখক আরও বলেন, “পুষ্টির দিক দিয়ে সাদা ও বাদামি চিনির মধ্যে তেমন কোনও পার্থক্য নেই।”

তিনি জানান, গুড়ের অস্তিত্ব থাকার কারণে বাদামি চিনি একটু ভেজা ভেজা হয়। আর এই চিনিতে ৩.৫ শতাংশ গুড় থাকলে হালকা এবং ৬.৫ শতাংশ গুড় থাকলে গাঢ় বাদামি রং হয়।

গুড়ের অস্তিত্বের কারণে সাদা চিনির চাইতে বাদামি চিনিতে মিষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে।

বাদামি চিনি দিয়ে কোন খাবার তৈরি করলে সেটার রং পরিবর্তন করে দিতে পারে।

মিলারের ভাষায়, “যদিও অনেকে বলেন সাদার চাইতে বাদামি চিনির উপকারিতা বেশি, তবে সত্যি বলতে দুটোর পুষ্টি উপাদানে মোটা দাগে তেমন কোন পার্থক্য নেই।”

 

তিনি জানান, সাদা চিনিতে শতকরা ৯৯.৯ ভাগই থাকে সুক্রোজ। আর বাদামি চিনিতে শতকরা ৯৭ ভাগ সুক্রোজ, দুইভাগ পানি ও একভাগ অন্যান্য উপাদান থাক।

এক চা-চামচে সাদা চিনিতে থাকে প্রায় ১৬ কিলো-ক্যালোরিজ। আর একই পরিমাণ বাদামি চিনিতে থাকে ১৭ কিলো-ক্যালোরিজ।

তবে বাদামি চিনিতে গুড়ের কারণে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে যা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে।

আর সাদার চিনির পরিবর্তে বাদামি চিনি খাওয়ার অভ্যেস করলে পরিমাণে কম ব্যবহার করলেও হবে। কারণ সাদার চাইতে বাদামি চিনির মিষ্টি বেশি।

তাই বলা যায় বাদামি চিনি স্বাস্থ্যের জন্য আলাদা কোন উপকার বয়ে আনেনা।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “লাল চিনি ৫০০ গ্রাম”

Your email address will not be published. Required fields are marked *