Freshfoodsbd.com

শিমুল গুড়া ১০০ গ্রাম

৳ 100.00

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমাদের নিজস্ব তত্বাবাধনে গুড়া করা হয়।

Category:

আমরা সাধারণত শিমুলের প্রস্ফুটন ঐশ্বর্যের কথা জানি, কাঠের নানা মাত্রিক ব্যবহারের কথাও জানি; কিন্তু ঔষধি গুণের কথা হয়তো খুব একটা জানি না। জেনে রাখা ভালো যে, শিমুলের মূল, মূলের ছাল, কাণ্ডের ছাল, আঠা, ফুল, ফল ও বীজ বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে কাজে লাগে। শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে গাছের মূল পিষে তেল বা ঘিয়ে ভেজে পরিমাণমতো খেতে হয়। তা ছাড়া মেয়েলি রোগসহ শিশুদের ডায়রিয়া, বসন্তের ঘা, ফোড়া ও আমাশয়ে গাছের বিভিন্ন অংশ কাজে লাগে। দীর্ঘদিনের শুষ্ক কাশি থাকলে শিমুলের আঠা চূর্ণ ৮০০ মিগ্রা পরিমাণ দু’বেলা দুধ বা পানিসহ অথবা চার চা-চামচ বাসক পাতার রস একটু গরম করে ছেঁকে নিয়ে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়। আবার অতিরিক্ত রক্তস্রাবে মূলের চূর্ণ ও রক্ত আমাশয়ে আঠার
চূর্ণ বেশ কার্যকর।
বসন্তে যে ক’টি উজ্জ্বল ফুল আমাদের চারপাশ আলোকিত করে রাখে শিমুল তার মধ্যে অন্যতম। বসন্তে গ্রামের সবুজ পটভূমিতে শিমুলের রক্তিম উচ্ছ্বাস মাতিয়ে রাখে চারপাশ। শিমুল (ইড়সনধী পবরনধ) বিরাট আকারের পাতাঝরা বৃক্ষ। শীতের হিমেল হাওয়ার প্রথম ছোঁয়াতেই এ গাছের পাতা ঝরে। বসন্তের একটু ছোঁয়া পেলেই রাশি রাশি ফুল ফুটতে শুরু করে। ধীরে ধীরে কাঁচা-সবুজ রঙের দু-এক স্তবক পাতা উঁকি দেয় ডালে ডালে। শাখা-প্রশাখার আগায় পাঁচ থেকে সাতটি পাতা একসঙ্গে থাকে। ফুল সাধারণত গাঢ় লাল রঙের হলেও তাতে কমলা ও হলুদ রঙের মিশ্রণ দুষ্প্রাপ্য নয়। ফুল বেশ বড় ও ভারী, পাপড়ি মুক্তভাবে ছড়ানো, ঘনবিন্যস্ত ও দলমণ্ডল ঘণ্টাকৃতির। পরাগচক্র বহু কেশরের সমষ্টি এবং পাপড়ির বিপরীতে পাঁচটি গুচ্ছে বিভক্ত। শালিক ও অন্যান্য পাখি প্রস্ফুটিত শিমুলের সহযোগী। ফুলের পরপরই আসে ফল। ফল লম্বাটে, রুক্ষ, কঠিন, ভঙ্গুর ও বিদারি। তারপর তুলা ও বীজ বাতাসে ভেসে ভেসে অনেক দূর অবধি ছড়িয়ে পড়ে। শিমুলের কাঠ সাধারণত দেশলাই ও বাক্স-প্যাকিংয়ের কাজেই বেশি ব্যবহৃত হয়। তুলা বালিশ, তোষক ও গদি তৈরিতে কাজে লাগে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “শিমুল গুড়া ১০০ গ্রাম”

Your email address will not be published. Required fields are marked *